ল্যাপটপ একটি অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইস। পোর্টাব্যলিটি এবং শক্তিশালী স্পেসিফিকেশনের কারণে এখন পর্যন্ত এই ডিভাইসটি টেক গিকদের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরেই রয়েছে। এই ডিভাইসটি যেহেতু সচরাচর আমরা ঘরের বাইরেও ব্যবহার করে থাকি তাই ডিভাইসটি দীর্ঘ দিন ব্যবহারের পর এর ভেতরে অনেক প্রকার ময়লা জমে যায়। ল্যাপটপ এর ভিতরে ময়লাগুলো মূলত এর কুলিং ফ্যান, ভেন্টিলেটর এবং হিট স্কিনেই বেশি পরিমাণে জমে, যার ফলে এটিল্যাপটপ এর কুলিং সিস্টেমকে তার কাজ পরিপুর্ন ভাবে করতে বাঁধা প্রদান করে। ফলাফল স্বরূপল্যাপটপ টির কুলিং সিস্টেম শতভাগ কাজ করতে না পারায় ডিভাইসটি অল্প ব্যবহারেই অনেক বেশি গরম হয় যায়।
ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে কুলিং সিস্টেম কাজ করাটা বেশ গুরুত্বপুর্ন। কেননা, ল্যাপটপ ডিভাইসের বডি সাধারণত অনেক কম স্পেসের হয়ে থাকে এবং এর জন্য হার্ডওয়্যার গুলো উত্তপ্ত হয়ে সহজেই ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, কুলিং ফ্যানে ময়লা জমার কারণে সেই ফ্যানটির ঘুরতে বেশি ইলেক্ট্রিক সোর্সের প্রয়োজন পরে যার ফলে দ্রুত ড্রেইন হয় ল্যাপটপ এর ব্যাটারিও! বুঝতেই পারছেন, এইটুকু ময়লাই আপনার কতটুকু ক্ষতি করতে সক্ষম! তাই, আজকের টিউটোরিয়ালটিতে ল্যাপটপ এর ময়লা কীভাবে পরিষ্কার করতে হয় – এ সম্পর্কে আমি আপনাদের যথাযত গাইড চেষ্টা করতে চেষ্টা করব।
আমি এই ল্যাপটপ এর ময়লা পরিষ্কারের মিশনকে দু’টি ভাগে ভাগ করছি,
১। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে সক্ষম হন
২। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে অপারগ হন
চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।
খেয়াল করে দেখুন, আপনার ল্যাপটপ এর নিচে একটি প্যানেল আছে (একের বেশিও থাকতে পারে) এবং সেই প্যানেলটি ল্যাপটপ এর আপার বডির সাথে অনেক গুলো স্ক্রু দ্বারা যুক্ত। সাবধানে স্ক্রু গুলো খুলে নিচের প্যানেলটি খুলে ফেলুন। যদি আপনার কাছে প্রসেসটি কঠিন মনে হয় তবে আপনি অনলাইনে আপনার ডিভাইসটি খুলতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। এছাড়াও কিছু কিছু ল্যাপটপ এর সাথে স্পেশাল ‘সার্ভিস ম্যানুয়াল’ থাকে। যদি আপনার ল্যাপটপ এর সার্ভিস ম্যানুয়ালটি আপনার কাছে থেকে থাকে তবে সহজেই আপনার ল্যাপটপ টি আপনি খুলতে পারবেন।
মনে রাখবেন, অনেক ম্যানুফ্যাকাচারার প্রতিষ্ঠানেই এমন নিয়ম রয়েছে যে একজন ব্যবহারকারী নিচের প্যানেল খুললেই সেই ডিভাইসটির ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে, তাই প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন। এবার ধরে নিচ্ছি আপনার ল্যাপটপ টি আপনি খুলে ফেলেছেন, এখনঃ-
১। প্রথমে স্ক্রু গুলো গুছিয়ে এক স্থানে রাখুন।
২। এমন কোন জায়গায় কাজ করুন যে যায়গাটুকু ময়লা হলে সমস্যা হবেনা।
৩। একটি ব্লোয়ারের সাহায্যে এমন ভাবে ব্লো করুন যাতে করে ল্যাপটপ এর ময়লাগুলো আরোও ভিতরে না ঢুকে ল্যাপটপ এর ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে যায়।
৪। আপনি যদি ব্লোয়ারের সাহায্যে ল্যাপটপ এর কুলার ফ্যানটিকের পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে বেশি দ্রুত স্পিন করান তবে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই খেয়াল করে পরিমাণ মত প্রেসার দিন কুলার ফ্যানে। সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি কুলার ফ্যানটিকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ব্লোয়ার দিয়ে হালকা হালকা ব্লাস্ট দিতে পারেন।
এভাবেই আপনি আপনার ল্যাপটপ টিকে শতভাগ না হলেও ভালোই ময়লা মুক্ত করতে সক্ষম হবেন।
** মনে রাখবেন, কমদামী ব্লোয়ার গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফিক্সড পাওয়ারের হয়ে থাকে ফলে ওগুলো দিয়ে ল্যাপটপ এর ময়লা পরিষ্কার করাটা রিস্কি হতে পারে। তাই ব্লোয়ার ব্যবহারের সময় যেগুলোতে আপনি পাওয়ার অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন সেগুলোই ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। আর সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি কমপ্রেসড এয়ার ব্যবহার করতে পারেন, এর অপর নাম ‘ক্যানড এয়ার’।
১। ক্যানড এয়ারের মাধ্যমে আপনি আপনার ভেন্টিলেটর টার্গেট করে বাতাসের ব্লাস্ট দিন। এতে করে সব ময়লা পরিষ্কার না হলেও ভেন্টিলেটর , কুলিং ফ্যান এবং আরও কিছু ময়লা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হবে।
২। আগেও বলেছি, কুলিং ফ্যান বেশি দ্রুত স্পিন করলে তা ড্যামেজ হতে পারে।
৩। কীবোর্ডের উপর দিয়ে ব্লাস্ট দিন। অনেক ডিভাইসের কীবোর্ড লেয়ারর নিচে একটা নিরাপত্তা স্তর থাকেনা, বা কিছু ফাঁক ফোঁকর থাকে।
৪। ব্যাটারী খুলে, ব্যাটারী প্যানেলে কোন ছিদ্র থাকলে তা টার্গেট করে ভেন্টিলেটরের দিকে এয়ার ব্লাস্ট করুন। তাতে কিছুটা ময়লা পরিষ্কার হবে।
এভাবে বেশি ডাস্ট পরিষ্কার হবেনা কিন্তু অবশ্যই কুলিং ফ্যান এবং ভেন্টিলেটর পরিষ্কার হওয়ায় আপনার ল্যাপটপ এর কুলিং সিস্টেম ভালো কাজ করবে।
আমি এই ল্যাপটপ এর ময়লা পরিষ্কারের মিশনকে দু’টি ভাগে ভাগ করছি,
১। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে সক্ষম হন
২। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে অপারগ হন
চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।
১। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে সক্ষম হন
বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ল্যাপটপ এর বিল্ড আর্কিটেকচার এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে করে একজন ব্যবহারকারী এটি পুরোপুরি খুলতে সক্ষম না হয়; এখন এর পিছে ম্যানুফ্যাকচার প্রতিষ্ঠানের কোন লজিকটি কাজ করে আমি জানিনা। হয়তো তারা ‘সেফটি’ দেখেন, আর নয়তো ‘বিসনেস’!! তো যাই হোক, এর ফলে সমস্যার পরিমাণই বেশি হয়। কেননা, ল্যাপটপ টি পুরোপুরি পরিষ্কার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।খেয়াল করে দেখুন, আপনার ল্যাপটপ এর নিচে একটি প্যানেল আছে (একের বেশিও থাকতে পারে) এবং সেই প্যানেলটি ল্যাপটপ এর আপার বডির সাথে অনেক গুলো স্ক্রু দ্বারা যুক্ত। সাবধানে স্ক্রু গুলো খুলে নিচের প্যানেলটি খুলে ফেলুন। যদি আপনার কাছে প্রসেসটি কঠিন মনে হয় তবে আপনি অনলাইনে আপনার ডিভাইসটি খুলতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। এছাড়াও কিছু কিছু ল্যাপটপ এর সাথে স্পেশাল ‘সার্ভিস ম্যানুয়াল’ থাকে। যদি আপনার ল্যাপটপ এর সার্ভিস ম্যানুয়ালটি আপনার কাছে থেকে থাকে তবে সহজেই আপনার ল্যাপটপ টি আপনি খুলতে পারবেন।
ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের পদ্ধতি
মনে রাখবেন, অনেক ম্যানুফ্যাকাচারার প্রতিষ্ঠানেই এমন নিয়ম রয়েছে যে একজন ব্যবহারকারী নিচের প্যানেল খুললেই সেই ডিভাইসটির ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে, তাই প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন। এবার ধরে নিচ্ছি আপনার ল্যাপটপ টি আপনি খুলে ফেলেছেন, এখনঃ-
১। প্রথমে স্ক্রু গুলো গুছিয়ে এক স্থানে রাখুন।
২। এমন কোন জায়গায় কাজ করুন যে যায়গাটুকু ময়লা হলে সমস্যা হবেনা।
৩। একটি ব্লোয়ারের সাহায্যে এমন ভাবে ব্লো করুন যাতে করে ল্যাপটপ এর ময়লাগুলো আরোও ভিতরে না ঢুকে ল্যাপটপ এর ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে যায়।
৪। আপনি যদি ব্লোয়ারের সাহায্যে ল্যাপটপ এর কুলার ফ্যানটিকের পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে বেশি দ্রুত স্পিন করান তবে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই খেয়াল করে পরিমাণ মত প্রেসার দিন কুলার ফ্যানে। সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি কুলার ফ্যানটিকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ব্লোয়ার দিয়ে হালকা হালকা ব্লাস্ট দিতে পারেন।
এভাবেই আপনি আপনার ল্যাপটপ টিকে শতভাগ না হলেও ভালোই ময়লা মুক্ত করতে সক্ষম হবেন।
** মনে রাখবেন, কমদামী ব্লোয়ার গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফিক্সড পাওয়ারের হয়ে থাকে ফলে ওগুলো দিয়ে ল্যাপটপ এর ময়লা পরিষ্কার করাটা রিস্কি হতে পারে। তাই ব্লোয়ার ব্যবহারের সময় যেগুলোতে আপনি পাওয়ার অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন সেগুলোই ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। আর সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি কমপ্রেসড এয়ার ব্যবহার করতে পারেন, এর অপর নাম ‘ক্যানড এয়ার’।
ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের পদ্ধতি
২। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে অপারগ হন
আগেই বলেছি আধুনিক ল্যাপটপ গুলোর বিল্ড আর্কিটেকচার সম্পর্কে। কিন্তু, ম্যানুফ্যাকচারার চাক বা না চাক, ময়লা তো ল্যাপটপ এর ভিতরে জমবেই। আর এজন্যে আপনার কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হতে হবে। যদিও, এই পদ্ধতিতে খুব অল্পই ময়লা পরিষ্কার করা সম্ভব… তবুও চলুন, জেনে নেই।১। ক্যানড এয়ারের মাধ্যমে আপনি আপনার ভেন্টিলেটর টার্গেট করে বাতাসের ব্লাস্ট দিন। এতে করে সব ময়লা পরিষ্কার না হলেও ভেন্টিলেটর , কুলিং ফ্যান এবং আরও কিছু ময়লা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হবে।
২। আগেও বলেছি, কুলিং ফ্যান বেশি দ্রুত স্পিন করলে তা ড্যামেজ হতে পারে।
৩। কীবোর্ডের উপর দিয়ে ব্লাস্ট দিন। অনেক ডিভাইসের কীবোর্ড লেয়ারর নিচে একটা নিরাপত্তা স্তর থাকেনা, বা কিছু ফাঁক ফোঁকর থাকে।
৪। ব্যাটারী খুলে, ব্যাটারী প্যানেলে কোন ছিদ্র থাকলে তা টার্গেট করে ভেন্টিলেটরের দিকে এয়ার ব্লাস্ট করুন। তাতে কিছুটা ময়লা পরিষ্কার হবে।
এভাবে বেশি ডাস্ট পরিষ্কার হবেনা কিন্তু অবশ্যই কুলিং ফ্যান এবং ভেন্টিলেটর পরিষ্কার হওয়ায় আপনার ল্যাপটপ এর কুলিং সিস্টেম ভালো কাজ করবে।
শেষ কথাঃ
আপনার ল্যাপটপ টির যদি খুব দ্রুতই ওভারহিটিং এর সমস্যা থাকে এবং আপনি পরিষ্কার করতে অপারগ হন তবে আপনার উচিৎ বিলম্ব না করে প্রোফেশনালদের সার্ভিস গ্রহণ করা, কেননা ছোট ছোট সমস্যাই বড় কোন দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভালো থাকুন।ABOUT ME
Hi all. This is My Frist Blog. We're providing content for Bold site and we’ve been in internet, social media and affiliate for too long time and its my profession. We are web designer & developer living Bangladesh! What can I say, we are the best..
0 comments :
Post a Comment