বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে টেচনার জানিয়েছেন, যাঁরা বেশি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে ভিভালডি ব্রাউজারটি। এটার ইন্টারফেস এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে স্ক্রিনে যেসব ট্যাব ওপেন করা হয় তা দেখতে বিশেষ সুবিধা হয়।
টেচনার বলেন, ভিভালডি ব্রাউজারটির মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেট সংস্করণ তৈরির কাজ চলছে। এটি তৈরি হলেই উন্মুক্ত করা হবে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত গীতিকার অ্যান্টোনিও ভিভালডির নাম থেকে এই ব্রাউজারটির নামকরণ করা হয়েছে। অপেরা সফটওয়্যারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্রাউজার ও মোবাইল ফোন প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন টেচনার। নিজের সেই অভিজ্ঞতার বিষয়টিই ভিভালডি নামকরণের মাধ্যমে তুলে আনতে চেয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে অপেরা ছেড়ে ভিভালডি ডটনেট নামের একটি সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন তিনি। নতুন ব্রাউজার তৈরিতে ৯০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ তাঁর।
টেচনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কখনো কখনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে নিজস্ব বিনিয়োগের দরকার পড়ে। আমি মনে করি সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
গুগল ক্রোম, মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, অ্যাপলের সাফারি, মজিলার ফায়ারফক্স এমনকি অপেরা নিজস্ব ব্রাউজার থাকার পরও নতুন ব্রাউজার কেন? টেচনার মনে করছেন, ব্রাউজার নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকলেও নতুন ব্রাউজার উঠে আসার সুযোগ রয়েছে।
আমাদের ব্রাউজার সবার জন্যই। তবে যাঁরা বেশি বেশি নেট ঘাঁটেন এবং ব্রাউজার থেকে বেশি কিছু চান, তাঁদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে ভিভালডি। এ ধরনের ব্রাউজারের চাহিদা আছে।
ভিভালডি ব্রাউজারে থাকছে ব্যক্তিগত নোট রাখা, ছোট স্ক্রিন শটের মাধ্যমে বুকমার্ক করে রাখা, একাধিক গ্রুপ ও ফোল্ডার তৈরি করার মতো বিশেষ ফিচার।
0 comments :
Post a Comment