গত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে স্বামী-স্ত্রীর নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া স্মার্টকার্ডের খসড়া ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। একই সঙ্গে চূড়ান্ত নমুনা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা-২০১৪ সংশোধনের তাগিদ দেয় কমিশন।
সূত্র জানায়, আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে (২৬শে মার্চ) থেকে স্বামী স্ত্রী নাম ছাড়া স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করবে ইসি। সে লক্ষ্যে একটি খসড়া ডিজাইনও প্রস্তুত করেছে। ডিজাইনকৃত স্মার্টকার্ডটি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন কমিশনে উত্থাপন করলে ভোটারের স্বামী-স্ত্রীর নাম বাদসহ প্রস্তাবিত ডিজাইনে তথ্য অন্তর্ভুক্ত এবং তথ্যাবলীর ক্রমপুনর্বিন্যাস করতে নির্দেশ দেয় ইসি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বাংলামেইলকে বলেন, ‘স্মার্টকার্ডের উপরে অংশে স্বামী-স্ত্রীর নাম রাখা হচ্ছে না। তবে কার্ডের ইন্টারনাল মেমোরিতে ভোটারের যাবতীয় তথ্য দেয়া থাকবে।’
ইসি জানায়, ইতোমধ্যে স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের জন্য ফরাসি কোম্পানি অবারথু টেকনোলজির (oberthur technology) সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি স্বাক্ষরও হয়েছে। কোম্পানিটি ৯ কোটি স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণ করবে। ৭৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা মূল্যের এই চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। জুনের মধ্যেই ৯ কোটি ভোটারেদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চায় ইসি।
প্রস্তাবিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তিন স্তরে মোট ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সন্নিবেশিত থাকবে। এছাড়া স্মার্টকার্ডের মধ্যে যে মাইক্রোচিপ দেয়া থাকবে তাতে একজন নাগরিকের সব তথ্য পাওয়া যাবে।
এছাড়া প্রাথমিকভাবে ২৫টি কাজে স্মার্টকার্ড ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- সরকারি সব অনলাইন সুবিধা, টিন (TIN) নম্বর প্রাপ্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যাংক হিসাব খোলা, ব্যাংক ঋণ, সরকারি ভাতা উত্তোলন, সহায়তা প্রাপ্তি, বিআইএন, শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বিমা স্কিম, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ই-পাসপোর্ট, ই-গভর্নেন্স, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই-ক্যাশ, ব্যাংক লেনদেন ও শিক্ষার্থীদের ভর্তি।
0 comments :
Post a Comment