বেক্তি উদ্যোগে যারা আউটসোরসিং এ প্রশিক্ষণ বা সহায়তা দিয়ে থাকেন তারাও পড়েন ভিবিন্ন সমস্যায় ! সহজ বাংলায় বললে কেও যেন দেখার নেই এই দেশের ফ্রিল্যান্সারদের। বাংলাদেশেরফ্রিল্যান্সাররা যা করে তা সম্পূর্ণ বেক্তি উদ্ধগে এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারনে। আর সহায়তা বলতে যা তা অনলিনে ঘাঁটাগাটি করে গুগলে থেকে বা ভিবিন্ন সোর্স থেকে। যাইহোক এত বাঁধা পেরিয়ে আমাদের মত যারা কাজ করে ২টা পয়সা ইনকাম করার জন্য আউটসোরসিং এ তাদের পড়তে হয় আরও এক মহা সমস্যায়! সেটা হল পেমেন্ট নিয়ে ! অনেক বায়াররা এদানিং কাজই দিয়ে চায় না কারণ মাক্সিমাম কোম্পানি বা অন্যান্যরা লেনদেন করে পেপ্যালের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের সেই পেপ্যালই নাই ! এর পরেও আমরা কাজ পাই এবং কাজ করি, কারণ আমরা সময় মত কাজ ডেলিভারি দেই, এবং আমাদের কাজের গুনগত মান অন্যান্যদের থেকে অনেক ভাল। মুক্ত বাজার অর্থনীতির সময়ে গুটা বিশ্ব পরিণত হয়েছে একটা দেশ বা একটা গ্রামে। এই সময়ে যদি বাঁধা গুলা দূর করে দেয়া না হয় তাহলে পিছে পড়বে ঐ দেশ এবং ঐ দেশের সাধারণ মানুষগুলা। বিশ্ব প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে, এখন যদি আমরা এবং আমাদের দেশটা পিছিয়ে পড়ে তাহলে এখান থেকে উত্তরণ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
যাইহোক যে বিষয়টা নিয়ে আজকের পোস্ট সেটা হল (বাংলাদেশে পেপ্যাল আসা অনিশ্চিত!) এই নিউজটা গত কাল আমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় দেখলাম। দেখে সত্যি বলতে কি মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল । তাই চিন্তা করলাম আমার মত যারাআউটসোরসিং-এ কাজ করে টুকটাক বা যারা প্রফেশনাল তাদের এই নিউজটা জানা প্রয়োজন। তাই নিচের লেখাটি দৈনিক যুগান্তরথেকে হুবহু তুলে দিলাম আমাদের পিসি হেল্পলাইনের ভিজিটিরদের জন্য।
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর, ২০১৩ দৈনিক যুগান্তর
লিখেছেন -এম. মিজানুর রহমান সোহেল ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অনলাইন গেটওয়ে পেপ্যালের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দফায় দফায় উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত অনিশ্চয়তায় পড়ল বাংলাদেশ। সম্প্রতি পেপ্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে এ দেশে আসছে না প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে দেশেরপ্রায় অর্ধলক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সারের আশা ভঙ্গ হল। একই সঙ্গে ই-কমার্সভিত্তিক ব্যবসায়ীরাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেন। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পেপ্যাল ব্যবহার করতে সক্ষম হলেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশকে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জানা গেছে, পেপ্যাল বর্তমানে পৃথিবীর ১৯০টি দেশে কাজ করছে এবং এইটি ২৩.২ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে। পেপ্যাল ২৬টি মুদ্রায় গ্রাহকদের অর্থ পাঠাতে, গ্রহণ করতে ও অর্থ সংরক্ষণ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।এই মুদ্রাগুলো হল অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ব্রাজিলের রিয়েল, কানাডার ডলার, চীনেরইউয়ান (শুধু কিছু চীনা একাউন্টে ব্যবহারযোগ্য), ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং, জাপানি ইয়েন, চেক ক্রোনা, ডেনিশ ক্রোন, হং কং ডলার, হাঙ্গেরীর ফ্রইন্ট, ইসরাইলের নতুন শেকেল, মালেশিয়ার রিঙ্গিত, মেক্সিকোর পেসো, নিউ জিল্যান্ডেরডলার, নরওয়ের ক্রোন, ফিলিপাইনের পেসো, পোল্যান্ডের যোলটি, সিঙ্গাপুরেরডলার, সুইডেনের ক্রোনা, সুইস ফ্যাঙ্ক, নতুন তাইওয়ানের ডলার, থাই ভাত এবংযুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন ডলার। এছাড়া পেপ্যাল স্থানীয়ভাবে ২১টি দেশে কাজ করে।জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পেপ্যাল বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে তারা আপাতত বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না। বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতাকে এ জন্য কারণ হিসেবে দেখিয়েছে । ১৯৯৩ সালে ইউরোপে কার্যক্রম শুরু করা এ আর্থিক সংস্থাটি। গত ২ বছর ধরে সংস্থাটিকে দেশে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বিভিন্ন সময় নানা অনুষ্ঠানে বলেছেন, চলতি বছরেই পেপ্যাল বাংলাদেশে আসছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পেপলের আন্তর্জাতিক সদর দফতর থেকে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে আসেন। তারা ওই সময় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকও করেন। সে সময় আইনগত নানা দিক পর্যালোচনা করে যায়। বাংলাদেশে অনলাইন পেমেন্টের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে একটি মতামত দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সদরদফতর ক্যালিফোর্নিয়ায়। মূলত ওই প্রতিনিধি দলের মতামতের ভিত্তিতে পেপ্যালসদর দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে না আসার। সম্প্রতি বাংলাদেশে পেপ্যাল না আসার অফিসিয়ালি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহীপরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এটা ঠিক পেপ্যাল আপাতত বাংলাদেশে আসছে না। তবে কোনো দুর্বলতার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের সব নীতি তাদের মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আমাদের জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আলাদা সফটওয়্যার করে তারপর আমাদের দেশে আসবে। এমন কথা জানিয়ে পেপলের প্রধান নির্বাহী আমাদের চিঠি দিয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব পেপ্যালকে দেশে নিয়ে আসতে। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা গত বছর ৪ কোটি ডলার রাজস্ব আয় করেছে। এ ছাড়াও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো আয় করেছে আরও ১০ কোটি ডলার। আরও ৮ কোটি ডলার দেশে এসেছে।আগামী ৫ বছরের মধ্যে এ আয় ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। স্বল্প খরচে এবং স্বীকৃতভাবে আয়ের অর্থ দেশে আনতে পেপ্যালকে বাংলাদেশে আনার জন্য বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ।
——————————————————————————————————————————————————————————————–
এইসব বাঁধা বিপত্তি গুলা যদি দূর করা যায়, তাহলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হতে পারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির আরও একটি অন্যতম উপায়। যাইহোক আজ এই পর্যন্ত। ভাল থাকবেন সবাই আল্লাহ্ হাফেজ।
0 comments :
Post a Comment