Information Technology

This Awesome Blogger Let's be friends and spread the love
together in the world.
Join us on

জেনে নিন মেমোরি সম্পর্কে নতুন কিছু

সোজা ভাষায় বলতে গেলে “মেমোরি” একটি কনফিউশনাল টার্ম।ধরুন আপনার কোন বন্ধুরা নতুন ল্যাপটপ কিনেছে। তাদের জিজ্ঞেস করলেন আপনি “তোদের ডিভাইসের মেমোরি কত? ” আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে তাদের মাঝে ৯০ ভাগ ই উত্তর দেবে যে ২/৪ গিগা র‍্যাম। বাকি ১০ ভাগ বুদ্ধিমান  উত্তর দেবে SSD (সলিড স্টেট ড্রাইভ) বা HDD(হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ) এর এমাউন্ট অনুসারে।এখন আসলে কম্পিউটারের মেমোরি বলতে কোন মেমোরি কে বোঝানো হয়?
সমস্যা হচ্ছে আসলে উপরের তিনটি উত্তরের মাঝে কোনটাই পুরোপুরি ভুল না। কারন একটি সিংগেল পিসিতে অনেক টাইপের মেমোরি থাকতে পারে, চলুন শুরু করি :D
(DRAM=Dynamic Random Access Memory): এটা সব থেকে পরিচিত টাইপ মেমোরি। ডিভাইসকে হাই পারফোরমেন্স দিতে এ মেমোরির আর কোন জুড়ি নাই।পিসিতে  কোন প্রোগ্রাম রান করা হলে ফার্স্টে তা র‍্যাম এ লোড হয় , তারপর সেট অব ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী প্রসেসর র‍্যাম কে দিয়ে কাজ করায়। DDR3 ডি র‍্যাম এর একটি উদাহরন। এটাকে বলা হয় ভোলাটাইল বা অস্থায়ী মেমোরি, পিসি চালানো অবস্থায় পাওয়ার চলে গেলে এ মেমোরি থেকে ডাটা মুছে যায় । সে ডাটা আর ফিরে পাওয়া যায়না যদিনা র‍্যামকে বার বার রিফ্রেশ বা রি রিটেন করা হয়।সো বুঝতেই পারছেন র‍্যামকে লং টার্ম স্টোরেজ এর জন্য আসলে ব্যাবহার করা হয়না। এটার কাজ হচ্ছে ওয়ার্কিং মেমোরি হিসেবে প্রসেসর বা গ্রাফিক্স কার্ডকে তাদের নিজেদের কাজ করতে সাহায্য করা ।
(SRAM=Static Random Access Memory): এস র‍্যামকে বলা যায় ডি র‍্যাম এর বড় ভাই । এটাও এক টাইপ ভোলাটাইল বা অস্থায়ী মেমোরি ।কিন্তু এদের মাঝে প্রধান পার্থক্য হল এস র‍্যাম ডি র‍্যাম এর চাইতে অধিক কার্যকরী আর অধিক পারফোরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয় এবং ভোলাটাইল মেমোরি হোয়া সত্যেও এর ভেতোরের ডাটা পাওয়ার চলে যাবার সাথে সাথে মুছে যায় না , ডি র‍্যাম এর ডাটা প্রতি ইউনিট সময়ে ওভাররিটেন হয় কিন্তু এস র‍্যাম এর ডাটা ওভাররিটেন হবার বদলে পরবর্তি ইন্সট্রাকশনের জন্য অপেক্ষা করে।মর্ডান হাই পারফোর্মেন্স পিসিগুলোতে  সি পি ইউ এর ঠিক পাশেই এস র‍্যাম ব্যাবহার করা , এতে সি পি ইউ এর সবচাইতে জরুরি ডাটাগুলো থাকে  যাতে সি পি ইউ সহজে এক্সেস করতে পারে।একে আমরা ক্যাশ মেমোরি হিসেবে চিনি যার সাইজ মাত্র কয়েক মেগাবাইট হয়।
(Flash Memory):ফ্লাস মেমোরি আমরা আসলে সবাই চিনি, এটা স্থায়ী , পাওয়ার চলে গেলেও ডাটা মুছে যায়না কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এর ভেতোরের প্রোগ্রাম ইরেস বা  ডাটা রি রাইট করার নির্দিষ্ট সার্কেল বা সংখ্যা থাকে । এর পারফোরমেন্স উপরের দুই মেমোরির চাইতে অনেক কম। অনেকে SDD কে HDD এর সহোদর মনে করেন কিন্তু সত্য হল SDD আসলে এক ধরনের ফ্ল্যাশ মেমোরি। SDD এর আকার HDD এর চাইতে অনেক কম হয় ধরুন ১০০ গিগাবাইট আর এতে শুধুমাত্র উইন্ডোজ এর দরকারি ফাইল আর বিভিন্ন এপ্লিকিশন এর প্রোগ্রাম ফাইল থাকে । কিন্তু দামের দিক থেকে SDD অনেক এগিয়ে যেহেতু এর পারফোরম্যান্স অনেক বেশি । আরেক ধরনের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হল পেন্ড্রাইভ , কিন্তু এতে যে ‘চিপ’ ব্যাবহার করা হয় তা নিম্নমানের যার কারনে এটা SDD এর মত কাজ করতে পারেনা ।
(HDD=Hard Disk Drive):এটাকে সবাই চেনে মেক্যানিক্যাল স্টোরেজ বা হার্ড ড্রাইভ নামে ।এটার ভেতোরে ম্যাগনেটিক ডিস্ক প্রতি মিনিটে ৫৪০০০-৭২০০০ ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে ০ আর ১ আকারে ৬০ এর দশক থেকে মেমোরি স্টোর করে আসছে । এর ফিজিক্যাল স্ট্রাকচার এর জন্য এর মত ফাস্ট ননভোলাটাইল মেমোরি এখনো পাওয়া যায়নি ।
(Virtual Memory): এটা আরেক স্পেশাল টাইপ মেমোরি , ফ্লাস মেমোরি কে যে কোন সময় ভার্চুয়াল মেমোরি হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। এটা কাজ করে র‍্যাম থেকে ডাটা নিজের মাঝে ট্রান্সপ্লান্ট করে। অর্থাৎ ডি র‍্যাম এর ডাটা ভারচুয়াল মেমোরি নিজের ভেতোর নিয়ে নেয় আর ডি র‍্যাম কে ফাকা ছেড়ে দেয়। যার কারনে ডি র‍্যাম সাভাবিকের চাইতে বেশি ডাটা প্রসেস করতে পারে ।কিন্তু যেহেতু ফ্লাশ মেমোরি এতে ব্যাবহার করা হয় তাই পিসির পারফোরম্যান্স এর খুব উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়না ।
সো কেউ মেমোরি কত জিজ্ঞেস করলে প্রথমে জিজ্ঞেস করবেন সে কোন মেমোরির কথা শুনতে চাচ্ছে  :P ভাল থাকুন । পরের কোন পোষ্ট এ  DDR3,DDR2,SSD,HDD নিয়ে আরো ভালভাবে আলোচনা করা হবে ।

 what-memory-for-intel6what-memory-for-intel6

Share this:

ABOUT ME

Hi all. This is My Frist Blog. We're providing content for Bold site and we’ve been in internet, social media and affiliate for too long time and its my profession. We are web designer & developer living Bangladesh! What can I say, we are the best..

JOIN CONVERSATION

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :