চলতি বছরের জুন মাস থেকে এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদ ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সুবিধা বাড়াতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩০টি উপজেলায় নির্বাচিত ইউনিয়নগুলোতে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ শুরু হবে। ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করবে বিটিসিএল।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ৭০৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পের পুরো ব্যয় বহন করবে সরকার। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার ফাইবার লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়েছে। বিটিসিএলের এক কর্মকর্তা বলেন, বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের সংযোগের কারণেই এসব করা সম্ভব হয়েছে। তবে এক হাজার ইউনিয়নে সংযোগ প্রকল্পটি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে অর্থের অভাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রাম পর্যায়ে গ্রাহক সেবা অনেক বেড়ে যাবে।
এদিকে, সারা দেশে ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে আইপিভিত্তিক সেবা দেয়ার জন্য। ৪২ জেলার দেড় শতাধিক নোডে মোট ৪৬ হাজার ক্ষমতাসম্পন্ন এডিএসএল এক্সেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। বিটিসিএলের ৭৪৭টি এক্সচেঞ্জের (৬৪ জেলার) অপটিক্যাল ফাইবার সংযুক্ত করেছে। দেশে টেলিফোনের সংযোগ ক্ষমতা ১৪ লাখের বেশি হলেও এই সুবিধার আওতায় আসেনি বেশিরভাগ টেলিফোন। ইন্টারনেট সেবা দেয়ার যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি হলেও সেই সেবা থেকে গ্রাহক এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। কম দামে গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে না। টেলিফোন, এডিএসএল, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চার্জ কমিয়ে আনা হয়েছে। ব্যয়বহুল কপার কেবলের বদলে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে খরচ কমানোর পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে।
তবে কোন দাতাসংস্থা এই প্রকল্পে আর্থ সহযোগিতা করবে না। এ কারণে পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ১৩০টি উপজেলার এক হাজার ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার অপটিক্যাল ক্যাবল স্থাপন করা হবে। সারাদেশে শক্তিশালী ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তথ্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণের অংশ হিসাবে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ই-তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে, প্রকল্পের সবচেয়ে বড় অঙ্কের টাকা লাগবে ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি কেনায়। যন্ত্রপাতি কেনায় সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৮ কোটি টাকা। দু’এক মাসের মধ্যে ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি কেনার দরপত্র আহ্বান করা হবে। ২০১০ সালে বিটিসিএল ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়। নানা কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হওয়ায় বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় চলে যায়। বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সুবিধা শহরের মতোই পাওয়া যাবে।
ABOUT ME
Hi all. This is My Frist Blog. We're providing content for Bold site and we’ve been in internet, social media and affiliate for too long time and its my profession. We are web designer & developer living Bangladesh! What can I say, we are the best..
0 comments :
Post a Comment