কম্পিউটার এখন নিত্য-প্রয়োজনী একটি জিনিষ আর কাজের সময় অথবা অসময়ে কম্পিউটার যদি স্লো হতে যায় তাহলে মেজাজ বিগড়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক এবং আমরা কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা মনে হয় অনেক সময় এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়। যেমন ধীর গতির ফাইল-কপি অথবা যে কোন প্রোগ্রাম লোড হতে অনেক বেশী সময় নেয়া ইত্যাদি। কম্পিউটার ধীর হয়ে যাবার পেছনে অনেক ধরনের কারন থাকতে পারে। তবে নীচের কারনগুলো বেশী কমনঃ
- কম্পিউটারে ভাইরাস এবং ট্রোজান জাতীয় সফটওয়ার থাকা যা ব্যাকগ্রাউন্ডে আপনার অগোচরে কাজ করে যেতে পারে।
- স্পাইওয়ার এবং অপ্রয়োজনী সফটওয়ার ইন্স্টল করে রাখা যা কম্পিউটার স্টার্টাপের সময় লোড হয়ে যায় আর সারাক্ষন চলতে থাকে।
- ব্যাকগ্রাউন্ডে অনবরত এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার চলতে থাকা।
- হার্ডড্রাইভে Bad Sector থাকা।
- অপর্যাপ্ত RAM।
- অনেক সময় সঠিক ডিভাউস ড্রাইভার ইন্স্টল করা না থাকা।
এগুলো শুধু সচরাচর আমরা যা দেখে থাকি তাই। তবে আরো জটিল আকারের সমস্যাও থাকতে পারে। তো, কিভাবে আপনার ধীর গতির কম্পিউটারে একটু গতি আনবেন? অবশ্যই এনার্জি ড্রিঙ্ক খাওয়ালে কোন লাভ হবে না। তাই এজন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে কম্পিউটারে যা খুবই সহজ।
১। অপ্রয়োজনী প্রোগ্রাম আন-ইন্সটল করে ফেলা
উইন্ডোজ সেভেনের কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে Programs & Features খুলে দেখবেন একটা লম্বা লিস্ট আছে। যে যে প্রোগ্রামগুলো আপনি ব্যবহার করেন না সেগুলো আন-ইন্সটল করে ফেলুন চোখ বন্ধ করে।
২। Temporary Files ডিলিট করে ফেলা
কাজটি করা খুব সহজ! My Computer এ যান এরপর C: Drive > Windows > Temp – এঅ ফোল্ডারের ভেতর যা আছে সব ডিলিট করে ফেলুন। ফোল্ডারটি ডিলিট করবেন না। Recycle Bin থেকেও ডিলিট করে ফেলুন।
৩। আপনার হার্ডড্রাইভ যদি হয়ে থাকে ৫০০ গিগাবাইটের আর আপনার মোট ফাইল যদি হয়ে যায় ৪৫০ গিগাবাইট, তাহলে ধরে নিন আপনার নতুন হার্ডড্রাইভ কেনার সময় হয়েছে। কারন হার্ডড্রাইভ ভর্তি থাকলে আপনার কম্পিউটার ধীরগতির থাকবে। সবসময় চেষ্টা করবেন যেন অন্তত ১০০ গিগাবাইট ফ্রি-স্পেস থাকে।
৪। Disk Defragment
এই টুলটি খুব উপকারী বিশেষ করে ধীর হয়ে যাওয়া হার্ডড্রাইভের ক্ষেত্রে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার Disk Defragment করুন। এটি করতে My Computer এ Right Click করে Properties এ যান। এরপর Tools সেকশনের নীচে দেখবেন “Defragment Now”. এখানে ক্লিক করে আপনার ড্রাইভটি সিলেক্ট করুন এবং Defrag করুন। এই প্রোগ্রামটি আপনার সমস্ত অবিন্যস্ত ফাইলগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে আনবে এবং ফ্রি স্পেসকে অপটিমাইজ করবে।
৫। সিপিইউ কেসিং এর ভেতরের অংশটাকে সম্পুনর্ রুপে ধুলাবালি মুক্ত রাখুন। যদি প্রসেসর বা হিট সিঙ্ক ফ্যানে ধুলা জমে যায় তাহলে প্রসেসর অনেক বেশী উত্তপ্ত হয়ে যায় আর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আপনার কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যেতে পারে। তাই, সিপিইউ এর ভেতরের অংশটিকে রীতিমত হাসপাতাল বানিয়ে রাখুন।
ABOUT ME
Hi all. This is My Frist Blog. We're providing content for Bold site and we’ve been in internet, social media and affiliate for too long time and its my profession. We are web designer & developer living Bangladesh! What can I say, we are the best..
0 comments :
Post a Comment