স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপে নানা প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ এমনকি স্পর্শকাতর তথ্য জমা রাখা হয়। হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তু ওই তথ্যগুলো। কোনোভাবে আপনার ই-মেইলটি হ্যাক করতে পারলেই আপনি চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ ডিজিটাল এ যুগের যাবতীয় সেবাগুলোর জন্য আমরা ই-মেইলটি ব্যবহার করে থাকি। কখনও কখনও দেখা যায় হ্যাকাররাও হ্যাকিংয়ের শিকার হন। শুধু যে শক্তির লড়াই তা নয়। বরং একে অন্যের দুর্বলতাগুলো ধরিয়ে দিতে হ্যাকাররাও হ্যাক করে অন্য হ্যাকারদের। হ্যাক হওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে স্বয়ং হ্যাকাররা যে নিয়মগুলো মেনে চলে সেগুলো কেন আপনার জন্যও নয়!
সবসময় চালু রাখার দরকার নেই ওয়াইফাই ব্লুটুথ
যখন প্রয়োজন শুধু তখনই চালু করুন ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই। সবসময় এগুলো চালু রাখা মানে আপনার ডিভাইসে যে কোনো সময় ঢুকে পড়তে পারে হ্যাকার। তাছাড়া আপনি কোন কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন বা নিয়মিত করেন সেসব তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে। এতে পরিচিত কোনো ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ছদ্মবেশে সহজেই ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ঢুকে যেতে পারে হ্যাকাররা। তারপর ডিভাইস থেকে ডাটা চুরি, ম্যালওয়্যার ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটতে থাকবে।
দুই স্তরে সত্যতা যাচাই
বারবার আহ্বান করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে অবলম্বন করুন দুই স্তরের সত্যতা নিশ্চিতকরণ পদ্ধতি। ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সবগুলোই এখন চালু করতে শুরু করেছে ‘টুস্টেপ অথেনটিকেশন’ সেবা। এ ফিচারগুলো দিচ্ছে গুগল, টুইটার এবং লিংকডইনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। ফিচারটির মাধ্যমে নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না এমন ডিভাইস থেকে লগ ইনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বরে চলে যায় একটি কোড। এসএমএসের মাধ্যমে প্রাপ্ত ওই কোড ছাড়া নতুন ডিভাইস থেকে লগ ইন করা যাবে না। হ্যাকারদের হাতে পাসওয়ার্ড চলে গেলেও ফোনটা থাকছে ব্যবহারকারীর হাতেই।
ইউনিক পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
ইউনিক পাসওয়ার্ড বলতে এমন একটি অক্ষরমালা বোঝায়, যেটি পৃথিবীতে শুধু আপনিই তৈরি করবেন ও জানবেন। ব্যাংক এবং ই-মেইল অ্যাকাউন্টগুলোর মতো যে সাইটগুলোতে আপনার স্পর্শকাতর তথ্য থাকে সে সাইটগুলোর জন্য জটিল ও ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আর প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার এ পাসওয়ার্ডগুলো পরিবর্তন করুন। এজন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ‘লাস্টপাস’ বা ‘পাসওয়ার্ড সেফ’ এর মতো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যারগুলো। এতে একটি সফটওয়্যারেই জমা রাখা থাকে প্রয়োজনীয় সব পাসওয়ার্ড। আর পাসওয়ার্ডগুলো থাকে এনক্রিপ্টেড ডাটা হিসেবে। এছাড়া বেশিরভাগ সেবাদাতা পরামর্শ দেন পাসওয়ার্ড যেন হয় সংখ্যা, অক্ষর ও চিহ্ন সংবলিত।
নিরাপত্তায় এইচটিটিপিএস (HTTPS)
ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে শুধু HTTP লেখা থাকলে ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং সেশনের ওপর যে কেউ নজরদারি করতে পারে। সে জন্য সব সময় HTTPS ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে কম্পিউটারে ‘HTTPS Everywhere’ টুল ইনস্টল করে নিতে পারেন। ব্রাউজার ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের মধ্যে যত ডাটা আদান-প্রদান করে তার সবই এনক্রিপ্ট করে এ টুলটি।
নিজের বাসার ওয়াইফাইয়ে সাবধানতা
রাউটারের স্টিকারে লেখা পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে নিজের মতো পাসওয়ার্ড বানিয়ে নিন। এনক্রিপশন ‘সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করুন WPA-2 | ‘WEP’ ও ‘WPA’ অপশনগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
হোম ওয়াইফাই হাইড করবেন না
নিজের ঘরের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক হাইড করে রাখলে আপনার ডিভাইসগুলো ওয়াইফাই সংযোগের জন্য একটিভ নেটওয়ার্কের খোঁজ করে। এতে বেড়ে যায় ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা। এটি হাইড না করলে কেউ সেটি ব্যবহার করতে পারবে না, এমনকি কোনো পাসওয়ার্ড ব্রেকার অ্যাপসও ব্যবহার করে না।
ডিভাইসটি সাবধানে রাখতে হবে
নিজের ইন্টারনেট ডিভাইসটি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেটি যেন অন্য কারও হাতে না যায় সে ব্যাপারে থাকতে হবে সতর্ক। কারণ অন্য কেউ আপনার ডিভাইস আপনার মতো সাবধানে ব্যবহার করবে না। এমনকি বন্ধুদের মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে দুষ্টু লোক যে কিনা আপনাকে বিপদে ফেলার জন্য আপনার ডিভাইসে বাগ ছেড়ে দিতে পারে।
ABOUT ME
Hi all. This is My Frist Blog. We're providing content for Bold site and we’ve been in internet, social media and affiliate for too long time and its my profession. We are web designer & developer living Bangladesh! What can I say, we are the best..
0 comments :
Post a Comment