সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই মুশকিল। কখন যে কি জনপ্রিয় হয়ে যাবে বা কে ধপ করে শীর্ষস্থান থেকে নিচে নেমে যাবে—আগে থেকে আন্দাজ করার উপায় নেই। কিন্তু এরপরও এ ব্যাপারে কিছুটা চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে, তা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু ধারা বা ট্রেন্ড।
২০০৭-০৮ সালের পর থেকে দেখা গেছে, প্রতি বছরই ফেইসবুক বা টুইটারে কোনো না কোনো ট্রেন্ড জনপ্রিয় হচ্ছে। নতুন বছর এলে আগের ট্রেন্ড পুরনো হয়ে যাচ্ছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে এসব ট্রেন্ড নিয়ে জোর গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লগ পত্রিকা হাফিংটন পোস্ট। এ বছরের নতুন কিছু পরিবর্তন ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ব্লগটি।
১. টিভিকে ছাড়িয়ে
চলতি বছর ব্রডকাস্ট মিডিয়াকে অনেকদিক দিয়ে ছাড়িয়ে যাবে সোশ্যাল মিডিয়া। সংবাদ, রাজনীতি, বিনোদন, মার্কেটিং – সব জায়গায় প্রভাব বিস্তার করবে। এ বছরের সবচেয়ে বড় লেনদেন ও আইপিওগুলো সোশ্যাল সাইট নিয়েই হবে।
চলতি বছর ব্রডকাস্ট মিডিয়াকে অনেকদিক দিয়ে ছাড়িয়ে যাবে সোশ্যাল মিডিয়া। সংবাদ, রাজনীতি, বিনোদন, মার্কেটিং – সব জায়গায় প্রভাব বিস্তার করবে। এ বছরের সবচেয়ে বড় লেনদেন ও আইপিওগুলো সোশ্যাল সাইট নিয়েই হবে।
বিজ্ঞাপনদাতারা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে কাস্টোমার সার্ভিস – সবই দেবেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
২. ফোনে ইন্টারনেট
বিশ্বের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রায় অর্ধেক হয় মোবাইল ফোন দিয়ে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ফোনকেই তাদের একমাত্র ইন্টারনেট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করেন।
বিশ্বের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রায় অর্ধেক হয় মোবাইল ফোন দিয়ে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ফোনকেই তাদের একমাত্র ইন্টারনেট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করেন।
আর অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে কাটানো সময়ের সিংহভাগ ফেইসবুক, টুইটারে ব্যয় করেন। ২০১৫ সালের শেষদিকে এ রকম ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।
৩. ফেইসবুকের বিকল্প
মাত্র কয়েক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে মানুষ আমাদের সামনে ছিল ফেসবুক-টুইটার। কিন্তু গত বছর থেকে এ চিত্রে পরিবর্তন আসছে। অসংখ্য ব্যবহারকারী ফেসবুক-টুইটার থেকে সরে এসে স্ন্যাপচ্যাট, ইন্সটাগ্রাম, টুম্বলারে ঝুঁকেছেন।
মাত্র কয়েক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে মানুষ আমাদের সামনে ছিল ফেসবুক-টুইটার। কিন্তু গত বছর থেকে এ চিত্রে পরিবর্তন আসছে। অসংখ্য ব্যবহারকারী ফেসবুক-টুইটার থেকে সরে এসে স্ন্যাপচ্যাট, ইন্সটাগ্রাম, টুম্বলারে ঝুঁকেছেন।
এমনকি ফেসবুককে অনেক টিনেজার ‘বুড়োবুড়ি’ আর ‘ব্যবসায়ী’দের সাইট বলা শুরু করেছে! এ বছরের শেষ নাগাদ ফেসবুকের বিকল্প সাইটগুলো আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
৪. বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি
ফেইসবুক ও ইন্সটাগ্রাম বিজ্ঞাপনের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, টিভি, রেডিও বা খবরের কাগজের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপন অনেক বেশি কার্যকরী।
ফেইসবুক ও ইন্সটাগ্রাম বিজ্ঞাপনের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, টিভি, রেডিও বা খবরের কাগজের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপন অনেক বেশি কার্যকরী।
২০১৪ সালের চেয়ে চলতি বছরে এসব বিজ্ঞাপনে ৩.৭৫ গুণ বেশি ক্লিক পড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫. ছবি শেয়ারিং
ছবি তোলা ও শেয়ারিং অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে এ বছর। এ জন্য অবশ্য ইন্সটাগ্রাম ও পিন্টারেস্টের মতো কিছু সাইটকে ধন্যবাদ দিতে হয়। ছবি তোলা আর সেলফি আপলোড দেওয়া খাওয়া-ঘুমের মতো নিয়মিত হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ছবি তোলা কমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এ বছর।
ছবি তোলা ও শেয়ারিং অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে এ বছর। এ জন্য অবশ্য ইন্সটাগ্রাম ও পিন্টারেস্টের মতো কিছু সাইটকে ধন্যবাদ দিতে হয়। ছবি তোলা আর সেলফি আপলোড দেওয়া খাওয়া-ঘুমের মতো নিয়মিত হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ছবি তোলা কমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এ বছর।
৬. গুগল+ ঢেলে সাজানো
গুগলকে বাদ দিয়ে ইন্টারনেট কল্পনা করা যায় কি? কিন্তু গুগলের একটি আক্ষেপ আছে সোশ্যাল সাইট নিয়ে। এক্ষেত্রে ফেসবুকের একক সাম্রাজ্যে তারা কিছুতেই ভাগ বসাতে পারছে না।
গুগলকে বাদ দিয়ে ইন্টারনেট কল্পনা করা যায় কি? কিন্তু গুগলের একটি আক্ষেপ আছে সোশ্যাল সাইট নিয়ে। এক্ষেত্রে ফেসবুকের একক সাম্রাজ্যে তারা কিছুতেই ভাগ বসাতে পারছে না।
তাই ২০১৫ সালে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে গুগল+ এ। যে কারণে অনেকে এতে আকর্ষণ ফিরে পাচ্ছেন। এ ধারা বজায় থাকলে ফেসবুকের কপালে খারাপি আছে!
৭. টেক্সটের বদলে ভিডিও
ইন্টারনেটের তুখোড় গতির কারণে ভিডিও দিন দিন খুব কমন ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে। এমনকি ধীরে ধীরে টেক্সট মেসেজের জায়গা দখল করছে।
ইন্টারনেটের তুখোড় গতির কারণে ভিডিও দিন দিন খুব কমন ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে। এমনকি ধীরে ধীরে টেক্সট মেসেজের জায়গা দখল করছে।
২০১৫ সালে টেক্সট মেসেজ হিসেবে ১৪০ শব্দ অনেক বেশি মনে হচ্ছে আমাদের কাছে। এর বদলে ছবি বা মিনি-ভিডিও পাঠাতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি সবাই।
৮. ইন্টার্যাকটিভ বিজ্ঞাপন
টিভির বিজ্ঞাপনের সাথে অনলাইনের বড় পার্থক্য হচ্ছে, টিভির বিজ্ঞাপন দিয়ে আমরা একটি গল্প বলতে পারি। অনলাইনে শুধুই তথ্য। ২০১৫ সালে এই ধারা বদলানো আপ্রাণ চেষ্টা করছে কোম্পানিগুলো।
টিভির বিজ্ঞাপনের সাথে অনলাইনের বড় পার্থক্য হচ্ছে, টিভির বিজ্ঞাপন দিয়ে আমরা একটি গল্প বলতে পারি। অনলাইনে শুধুই তথ্য। ২০১৫ সালে এই ধারা বদলানো আপ্রাণ চেষ্টা করছে কোম্পানিগুলো।
ব্র্যান্ডগুলো চাইছে ইন্টার্যাকটিভ ও স্টোরিটেলিং পদ্ধতিতে ভোক্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। এ খাতের মার্কেটিংএও তাই বড় পরিবর্তন আসবে।
৯. কোনো বিশেষ প্ল্যাটফর্মের পতন হবে না
একবার কেউ কোনো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে চলে গেলে দ্বিতীয়বার সেই প্ল্যাটফর্মে ফেরত আসে না, কিছুদিন আগে এমন ধারণা ছিল বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই ধারণা এরই মধ্যে ভুল প্রমাণিত হওয়া শুরু হয়েছে।
একবার কেউ কোনো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে চলে গেলে দ্বিতীয়বার সেই প্ল্যাটফর্মে ফেরত আসে না, কিছুদিন আগে এমন ধারণা ছিল বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই ধারণা এরই মধ্যে ভুল প্রমাণিত হওয়া শুরু হয়েছে।
কোনো কোনো সামাজিক সাইট, যেমন ফেইসবুক, আমাদের জীবনের সাথে এতটাই জড়িয়ে গেছে যে আমরা ইচ্ছে করলেই একে বাদ দিতে পারি না। তাই ফেইসবুক বা অন্য শীর্ষ সোশ্যাল সাইটের পতন হতে পারে যে ধারণা করছিলেন অনেকে, তা সম্পূর্ণ ভুল।
১০. মার্কেটিংয়ের প্রধান মাধ্যম
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্রধান প্ল্যাটফর্মে পরিণত হবে চলতি বছর। বিভিন্ন ব্র্যান্ড সবার আগে ফেইসবুক ও টুইটারে বিজ্ঞাপন দেবে। এরপর অন্যসব মাধ্যমের কথা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্রধান প্ল্যাটফর্মে পরিণত হবে চলতি বছর। বিভিন্ন ব্র্যান্ড সবার আগে ফেইসবুক ও টুইটারে বিজ্ঞাপন দেবে। এরপর অন্যসব মাধ্যমের কথা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
গ্রাহকরা পণ্য কেমন পছন্দ করছেন কিংবা পণ্যের ভবিষ্যত কেমন হতে পারে, তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই জানবে কোম্পানিগুলো।
ABOUT ME
Hi all. This is My Frist Blog. We're providing content for Bold site and we’ve been in internet, social media and affiliate for too long time and its my profession. We are web designer & developer living Bangladesh! What can I say, we are the best..
0 comments :
Post a Comment