অনেক দিন টিউন করা হয় না, ড্রাফটে জমা আছে বেশ কিছু লেখা। আজ তা থেকেই একটা মজার জিনিষ। এ ধরনের অনেকেই লেখেন,তো আমি একটু অন্যরকম গুলো দেবার চেষ্টা করছি।
গত দশক মানে ২০০০ থেকে ২০১০ সালে আমরা এমন কিছু পাইছি যেগুলোর ছানাপোনা রাই আজ রাজত্ব করতেছে প্রযুক্তি প্রেমী দের কাছে। তবু আমরা তাদের ভুলে যাবো কেন, আসেন ঘুরে আসি সেই ১০ বছর থেকে। দেখা যাক কি পেয়েছিলো আমাদের বড় ভাইয়েরা তাদের ছোটব্যালায়।
১। ফেইসবুকঃ
বলার অপেক্ষা রাখে না, এটাই ছিলো বড়গুলোর একটা। সেইসবুক আসলো , আর মানুষ পার্টি করা বাদ দিয়ে বসে গেলো ঘরে পিসির সামনে। ছেলেটা রাস্তায় দারিয়ে কারো অপেক্ষা না করে ডুব দেয় মোবাইলের স্ক্রিনে। কেউ একজন কজন বন্ধুর মাঝে বসে মোবাইলে গেমস খেলতেছে এমন টা খুব দেখা না গেলেও ফেইসবুকিং করতেছে এটা খুবি সাধারন , না ? তো আমরা শুরুতেই বলতে পারি ফেইসবুকের কথা।
আমার মতামতঃ ভাইরাস ম্যান, ভাইরাস !
২। এপল আইপডঃ
ঐ সময় টার কথা চিন্তা করুন। হাতে হাতে স্মার্টফোন নাই, ঘরে ঘরে সিডি প্লেয়ার নাই। বাজারে নাই এত রকম এমপিথ্রি প্লেয়ার। এমন কি এপলের আইফোন ও নাই । গান শুনতে হতো ক্যাসেট প্লেয়ার এ। প্লাগ লাগাতে গিয়ে কত যে কারেন্টের শক খাইছি! এমন সময় বাজারে আসলো এপলের আইপড। ছোট্ট স্মার্ট কিউট একটা ডিভাইস যেটাতে গান শোনা যায়। যদিও ধনীদের জন্য ছিলো তবু এটাকে বলা যায় একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার। এপলের আইটিউন এর বিশাল মিউজিক কালেকশন, আর পোলাপানের সামনে ভাবের পাশাপাশি মিউজিক প্রেমীদের জন্য হাতের মুঠোয় বিশ্ব !!!!!!
মন্তব্যঃ ভাব ভালোই মারছি সেই ২০০৬ এর দিকে।
৩। ভার্চুয়াল কিবোর্ডঃ
আহা, পুরো যেন সাইন্স ফিকশন। গতবাধা কিবোর্ডের খট খট শব্দ, কিবোর্ডের উপর ঘুমানো আর মেজাজ খারাপ হলে আছার মারা, সবকিছুর ধ্যন ধারনা বদলে দিলো ভার্চুয়াল কিবোর্ড।দেখেই বুঝতে পারতেছেন জিনিষ টা কি। একটা ক্ষুদ্র ডিভাইস যা যেকোন কঠিন সমতলের উপর এমন আলো ফেলতে সক্ষম আর তার ক্ষমতা থাকতেছে ডাটা নেবার। সো সেই আলোর উপর আঙ্গুল বুলিয়েই টাইপ করতে পারবেন টেকটিউন্সে পড়ের টিউন টা। ভাবা যায় ? তখন ও ভাবা যাইতো না, এখন যায়। খুজলে ঢাকাতেই পাওয়া যায় বড় শোরুম গুলোতে। আইফোন ৬ এও থাকার কথা ফিচার টা, সঠিক জানি না, জানলে জানান বিস্তারিত।
মন্তব্যঃ শিমুল ভাইয়ের কিবোর্ডিং এর শব্দে এলাকাবাসী ঘুমাতে পারে না।
৪। ওকুলাস রিফটঃ
এটার কথা জানছি খুব রিসেন্ট।প্রিয় একজন টেক ব্লগার এর পছন্দের ডিভাইস এর তালিকায় দেখে গুগলিং করতে বেরিয়ে গেলো আসল কাহিনী। একটা গেমিং প্রতিষ্ঠান ( অফিশিয়াল সাইট ) বদলেই দিলো গেমিং এর সব ধ্যানধারনা। থ্রিডি গেমিং আপনাকে দেবে পুরো রিয়েলিটীর স্বাদ। যেকোন সাধারন গেম ই অবশ্য খেলতে পারতেছেন না, তবে ডেভেলপার রা নিত্যনতুন গেমস বানাচ্ছেন, খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে গেলেও আমাদের উপমহাদেশের টেক লাভার বা গেমার রা সম্ভবত এখনো হাতে পান নাই।
মন্তব্যঃ অপেক্ষায় আছি রে বগাই।
৫। এপল আইফোনঃ
আইফোন তো আইফোন ই। কিছু বলা লাগবে না। এবার এমন একটা সময়ের কথা ভাবুন যখন মোবাইলের ফিচার লিস্টে লেখা থাকতো
কথা বলা যায়
টেক্সট ম্যাসেজ করা যায়
ফোনে পলিফনিক রিংটোন সেট করা যায়
ব্লা ব্লা ব্লা। সেই সময় এমন একটা মোবাইল ফোন হাতে পেলো বিশ্ব যা দিয়ে সুপার স্পিডে নেট সার্ফিং করা যায়, সাথে এটার (সে সময়ের) বিশাল স্ক্রিনে মুভি দেখা যায় হাই কোয়ালিটির। বোতাম চাপতে হয় না, টাচ করেই যা ইচ্ছে তাই করা যায়। চিন্তা করতে পারেন ২০০৭ এর আগে ?
মন্তব্যঃ শাহরিয়ার শিমুল, পার্ট লস ?
৬। এমাজন কিন্ডলঃ
আহহ বই, বই পড়তে হলে একটা সময় যেতে হতো লাইব্রেরী তে। বিশ্বের প্রধান ও প্রথম ই কমার্স সাইট এমাজন এ দশকে আনে তাদের প্রফেশনাল ই বুক রিডার কিন্ডল। এডবি রিডার তখনো আসে নাই, নাই পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য হাজার হাজার সাইট । তখন এমন একটা ডিভাইস পাওয়া গেলো যা দিয়ে বই কিনে সেটা দিয়েই পড়া যায়। এক কথায় দুনিয়ার সবথেকে বড় বই এর দোকান আপনার হাতে, আপনার হাতে দুনিয়ার সবথেকে বড় লাইব্রেরী। ভাবা যায় !!!!!!!!!
মন্তব্যঃ আমার এত এত পিডিএফ আছে, হুহ।
৭ঃ সিক্স সেন্সঃ
হতবাক হয়ে গেছি এই টেকনলজি দেখে। একটা প্রযুক্তি যা আপনার হাত রে কি বানাতে পারে ছবি দেখেই বুঝতে পারতেছেন। আপনার হাতের ইশারাতেই সম্ভব এখন অনেক কিছু। দেখে মনে হবে কোন সাইন্স ফিকশন মুভির দৃশ্য কিন্তু না ! এরা গেল শতকের বেশ ভালো ব্যাবসা করছে অলরেডী। এদের অফিশিয়াল সাইট ।
মন্তব্যঃ কিবুর্ড সিস্টাম করা যাইতো না ? লাবু লেইখা ইমপ্রেস মারতাম
ABOUT ME
Hi all. This is My Frist Blog. We're providing content for Bold site and we’ve been in internet, social media and affiliate for too long time and its my profession. We are web designer & developer living Bangladesh! What can I say, we are the best..
0 comments :
Post a Comment